ওয়েব ডেস্ক: ঢাকা অবরোধ করতে এলে শাপলা চত্বরে হেফাজতের যে অবস্থা হয়েছিল বিএনপিকে তার চেয়েও করুণ পরিণতি বরণ করতে হবে- আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, বিএনপি তিনবার রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল। মনে রাখতে হবে, হেফাজত আর বিএনপি এক নয়।
২০১৩ সালে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের অবস্থান নিয়ে ওবায়দুল কাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মন্তব্য করে মির্জা আব্বাস বলেন, আপনি (ওবায়দুল কাদের) বলছেন শাপলা চত্বরের মত অবস্থা হবে। তার মানে আপনি স্বীকার করলেন সেদিন আপনারই হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছেন। তবে মনে রাখবেন, হেফাজত আর আমরা এক নয়।
তিনি বলেন, বলা হচ্ছে- আমরা নাকি ১৮ তারিখে ঢাকায় বসে পড়বো। আমি বলতে চাই- আমাদের বসার কোনো পরিকল্পনা নাই।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির চেয়ারপারসনের উন্নত চিকিৎসা ও মুক্তি দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি যৌথভাবে এ সমাবেশ আয়োজন করে।
সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে মির্জা আব্বাস বলেন, এত গ্রেফতারে কি আন্দোলন থেমে গেছে? নেতাকর্মীরা গ্রেফতারে ভয় পায় না। গতকাল (মঙ্গলবার) একটি বিশেষ শ্রেণির সভা হয়েছে। সেখানে বিরোধী নেতাকর্মীদের দমন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসব করে কোনো কাজ হবে না।
ক্ষমতাসীনদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, জনগণ রাস্তায় নেমে গেছে। আপনারা কত অপকর্ম করেছেন, কত চুরি করছেন জনগণ তা জেনে গেছে। আপনারা বলছেন- বাড়াবাড়ি করবেন না। বাড়াবাড়ি তো আপনারা করছেন। পুলিশ নিয়ে অহংকার করছেন। এত অহংকার ভালো না।
‘প্রধানমন্ত্রী বলছেন- তারেক রহমান কোথায়? আপনার স্বামী ওয়াজেদ মিয়া যখন মারা গেলেন তখন আপনার সন্তানেরা কোথায় ছিলো’- প্রশ্ন রাখেন মির্জা আব্বাস।
ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক এবং দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব লিটন মাহমুদের সঞ্চালনায় এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফরহাদ হালিম ডোনার, হাবিবুর রহমান হাবিব, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন।
আরও বক্তব্য রাখেন- ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, সমাজকল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আ ন ম সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।